অনলাইন ডেস্ক : টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে যোবায়ের ও সাদপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের টঙ্গী সরকারি হাসপাতালসহ আশপাশের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। সংঘর্ষ শুরু হয় বুধবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে।
নিহতরা হলেন- আমিনুল হক (৭০), বাচ্চু মিয়া (৭০), বেলাল (৬০) ও তাজুল ইসলাম (৬৫ )। আমিনুল হক ও বাচ্চু মিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামে। আর বেলালের বাড়ি ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদ এলাকায়। তার পিতার নাম আঃ সামাদ। তাজুল ইসলামের বাড়ি বগুড়ায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ভোর সাড়ে ৩টার দিকে সাদপন্থীরা তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে কামার পাড়া ব্রীজসহ বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে থাকেন। এসময় ময়দানের পাহারায় থাকা যোবায়েরপন্থীরা ভেতর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বলে সাদপন্থীরা জানান। সাদপন্থীরাও পাল্টা হামলা চালায়। এক পর্যায়ে সাদপন্থীরা ময়দানে প্রবেশ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে ঘটনাস্থলে দুইজন নিহত ও শতাধিক আহত হন।
সাদপন্থী মিডিয়া সমন্বয়ক মুরুব্বী মোহাম্মদ সায়েম বলেছেন, আমরা এখন ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণে আছি। যোবায়েরপন্থীদের আক্রমণে আমাদের এক ভাই শহীদ হয়েছেন।
যোবায়েরপন্থী মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, সাদপন্থীরা শেষ রাতের দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের সাথী ভাইদের উপর আক্রমণ করেন। এ সময় ঘটনাস্থলেই আমিনুল হক ও বাচ্চু নামের দুজন নিহত হন।
টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের এম্বুলেন্স চালক আশরাফুল ইসলাম জানান, ঢাকায় নেয়ার পথে বেলাল নামে একজন মারা গেছেন। তার বাড়ি ঢাকার বেড়াইদে।
এদিকে টঙ্গীর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।