
স্টাফ রিপোর্টার : ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী ভবনের সামনের রাস্তার প্রস্থ এবং ভবন ও রাস্তার মধ্যবর্তী উন্মুক্ত স্থানের যোগফলের দ্বিগুণের সমান উচ্চতায় ভবন নির্মাণ করতে হবে। কিন্তু ঢাকার সাভারের দক্ষিণ চাপাইন এলাকার বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে এই বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।
বিধিমালা লঙ্ঘন করে অনুমোদিত নকশা বাইরে ভবনটির নির্মাণ ও প্রতিবেশীদের ক্ষতিসাধন করে কাজ চলমান থাকলেও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। প্রতিবেশীদের ক্ষতিসাধন করে নিয়ম বহির্ভূত ভবন নির্মাণের অভিযোগে রাজউক, স্থানীয় প্রশাসনসহ সবশ্রেষ্ঠ বিভিন্ন দপ্তরের লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নাজমা বেগম এক বাসিন্দা।
নাজমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার প্রতিবেশী শাহীন হাওলাদার নকশা বহির্ভূতভাবে ৮তলা ভবন নির্মাণ করছে। চারিপাশে কোন জায়গা না ছেড়ে সীমানায় ঘেঁষে ভবনটি তৈরি করছে। নির্মাণাধীন ভবনের মালামাল আমার বাড়ির টিনের চালের উপর পরে নষ্ট হচ্ছে। একাধিকবার বললেও তারা কোন কর্ণপাত করছে না। উল্টো ভবন মালিকের পক্ষের লোকজন আমাদের নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
বিধিমালা অনুযায়ী দশ তলা ভবনের জন্য ভবনের সামনের রাস্তাসহ অন্তত ৫০ ফুট উন্মুক্ত জায়গা থাকতে হবে। কিন্তু শাহীন হাওলাদারের নির্মাণাধীন ভবনের সামনে ওই পরিমান উন্মুক্ত স্থান পাওয়া যায়নি। ভবনের কোন পাশেই উন্মুক্ত স্থান রাখা হয়নি। শুরু থেকেই ভবন মালিক শাহীন হাওলাদার ইমারত নির্মাণ বিধিমালা না মেনেই ৮তলা ভবনের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে অভিযোগ পাওয়ার পর সদর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
সভার সদর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন বলেন, ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী ভবন না করার অভিযোগ পেয়ে ভবনটিন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। ভবনের কাগজপত্র নিয়ে মালিকপক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে আসার জন্য নোটিশ করা হয়েছে। তাদের কাগজপত্র দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে ভবনটিতে গেলে ভবন মালিক কিংবা দায়িত্বরত কাউকেই পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply