স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকার সাভারে ইট, বালু এনে অসহায় এক গৃহবধূর জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মানের মাধ্যমে জোরপূর্বক দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ছোট ভাই মহসিন মন্ডল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নির্মান কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করলেও পুলিশ যাওয়ার পর পুনরায় দখলের কাজ শুরু করে চক্রটি।
রবিবার বিরুলিয়া ইউনিয়নের বাঘ্নিবাড়ি এলাকায় গৃহবধূ ফারজানা আক্তারের জমি দখলের জন্য সীমানা প্রাচীর নির্মানের কাজ করা হয়।
বিরুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দিদার হোসেন বলেন, জমিটিতে আদালত থেকে ১৪৫ধারা জারি করা ছিল। অদালতের নির্দেশ অমান্য করে দখলের চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে পুলিশ যাওয়ার পর পুনরায় নির্মান কাজ করার বিষয়ে তিনি বলেন, দিনভর পুলিশ ওখানেতো বসে থাকবে না। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দখল করতেছে তাই আদালত আমাদের কাছে প্রতিবেদন চাইলে আমরা দিব।
জমির মালিক গৃহবধূ ফারজানা আক্তার বলেন, জমিটি আমার শ্বশুরের। শ্বশুর আমার স্বামী মোহাম্মদ আলীকে দলিল করে দেয়। পরে সে আমাকে দলিল করে দেয়। জমিটি সড়কের পাশে হওয়ায় নজর পড়ে প্রভাবশালীদের। স্থানীয় চেয়ারম্যান (বিরুলিয়া ইউপি) সেলিম মন্ডলের ভাই মহসিন মন্ডলের নেতৃত্বে একটি চক্র আমাদের জমিতে ওয়ারিশ পাবে দাবী করে বিভিন্ন ভাবে দখলের পায়তারা করে এবং আমাদের নানাভাবে হেনস্থা করতে থাকে। পরে নিরুপায় হয়ে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হই। আদালত জমিতে দখলের চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারী করে। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আজ (রবিবার) মহসিন মন্ডলের অনুসারী কামাল, আবু কালামসহ বেশ কয়েকজন দলবল নিয়ে জমিতে আসে। তারা ইট, বালু, সিমেন্ট এনে জোরপূর্বক ওয়াল নির্মানের করতে থাকে। তাদের বাঁধা প্রধান করলে প্রানণাশের হুমকি দেয়। পরে পুলিশ আসলে তারা চলে যায়। কিন্তু পুলিশ চলে গেলে আবারও কাজ শুরু করে।
তবে মহসিন মন্ডল জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মানের কথা স্বীকার করে বলেন, ওই জমিতে মামলা আছে। আমাদের পক্ষে আদালতের রায় আছে।