অনলাইন ডেস্ক : বান্দরবানের রুমা উপজেলার পর এবার থানচি উপজেলা সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে ব্যাংক দুটিতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
এ সময় বাজার ঘেরাও করে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এরপর বাজারে বেশ কয়েকজনের মোবাইল ফোন ছিনতাই করে তারা। পরে যৌথবাহিনীর পাল্টা প্রতিরোধের মুখে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় বলে জানান স্থানীয়রা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন থানচি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অং প্রু ম্রো।
তিনি বলেন, বেলা একটার দিকে থানচি সদরের শাহজাহানপুরের দিক থেকে তিনটি চাঁদের গাড়িতে করে সন্ত্রাসীরা গুলি করতে করতে বাজার এলাকায় প্রবেশ করে। এরপর থানচি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ভেতরে ২০ জন করে সশস্ত্র কেএনএফ সদস্যরা ঢুকে নগদ টাকা যা পেয়েছে তা নিয়ে চলে যায়। এ সময় ব্যাংকের বাহিরে ৪০ জন কেএনএফ সদস্যরা পাহারা দিয়ে তিন টি গাড়িতে করে শাহজাহানপুরের দিকে চলে যায়।
এ বিষয়ে থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি, পৌঁছে বিস্তারিত জানাতে পারব।
জানা যায়, থানচি বাজারের ২০০ থেকে ৩০০ গজের ভেতরেই রয়েছে থানচি থানা, একটি বিজিবি ক্যাম্প। এ ছাড়া থানচি বাজারের শেষ মাথায় রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি চেকপোস্ট।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ব্যাংকের ভেতরে টাকা তুলতে আসা একাধিক গ্রাহক জানান, ডাকাতরা ৫ মিনিটের মতো ব্যাংকের ভেতরে অবস্থান করে। এই অল্প সময়ের মধ্যেই তারা গুলি চালিয়ে ভীতি সৃষ্টি করে সব টাকা লুট করে নিয়ে চলে যায়।
কয়েকজন গ্রাহক আরও জানান, ভেতরে ঢুকেই প্রথমে ডাকাতরা নিরাপত্তারক্ষীর অস্ত্র কেড়ে নেয় সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফলে এবং গ্রাহক, কাউন্টার ও ভল্ট থেকে সব টাকা বস্তায় করে নিয়ে বের হয়ে যায়।
এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে লুট করে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। এ সময় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র, মোবাইল, ব্যাংকের ভোল্টের সব টাকাসহ ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর এ সদস্যরা।
বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান পুলিশের আইজি, সেনাবাহিনী ও বিজবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন। এ সময় তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন, পুলিশের চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান, সোনালী ব্যাংক চট্টগ্রাম বিভাগের জিএম ও মুসা খান।
Leave a Reply