অনলাইন ডেস্ক : রোহিত শর্মা আর ইশান কিশান এনে দিলেন উড়ন্ত সূচনা। শেষ দিকে টর্নেডো ইনিংস খেললেন টিম ডেভিড ও রোমারিও শেফার্ড। ব্যক্তিগত ফিফটি ছাড়াই টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড সংগ্রহ গড়ল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতে হোঁচট খেলেও পৃথ্বী শ’য়ের ব্যাটে লড়াইয়ে ছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। ত্রিস্তান স্টাবসও খেলেন অবিশ্বাস্য ইনিংস। এরপরও শেষ পর্যন্ত জয় পাওয়া হলো না ঋষাব পান্তের দলের।
আইপিএলের চলতি আসরে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেল মুম্বাই। নিজেদের মাঠে রোববার তারা দিল্লিকে হারিয়েছে ২৯ রানে। ২৩৫ রানে লক্ষ্যে ৮ উইকেটে ২০৫ রান তুলতে পারে দিল্লি।
রোহিতের ২৭ বলে ৪৯, কিষানের ২৩ বলে ৪২, হার্দিক পান্ডিয়ার ৩৩ বলে ৩৯, ডেভিডের ২১ বলে অপরাজিত ৪৫ ও শেফার্ডের ১০ বলে অপরাজিত ৩৯ রানে ভর করে ৫ উইকেটে ২৩৪ রান তোলে মুম্বাই।
ব্যক্তিগত ফিফটি ছাড়াই যা টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। আগে যে রেকর্ড ছিল সমারসেটের। কেন্টের বিপক্ষে তারা তুলেছিল ৫ উইকেটে ২২৬ রান।
আনরিখ নরকিয়ার করা ইনিংসের শেষ ওভারে ৪ ছক্কা ও ২ চারে ৩২ রান নেন শেফার্ড। শেষ ৮ বলে মুম্বাই তোলে ৪২ রান। শেফার্ড-ডেভিড অবিচ্ছিন্ন জুটি থেকে আসে ১৩ বলে ৫৩। শেষের এই ঝড়ই মূলত ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়। আর শেষ ৪ ওভারে ৯২ রান বিলোয় দিল্লি।
নিজেদের পরের ম্যাচে নরকিয়াকে একাদশে রাখার কথা হয়ত দ্বিতীয়বার ভাববে দিল্লি। ৪ ম্যাচে তিনি দিলেন ২১৫ রান। এদিন ২ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে দেন ৬৫ রান।
লক্ষ্য তাড়ায় চতুর্থ ওভারে ডেভিড ওয়ার্নারকে হারায় দিল্লি। তবে আবিষেক পোরালকে নিয়ে ৪৯ বলে ৮৮ রানের জুটিতে দলকে লড়াইয়ে রাখেন পৃথ্বী। ৪০ বলে ৬৬ রান করে জাসপ্রিত বুমরাহর বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন এই ওপেনার।
এরপর প্রত্যাশিত রান আসেনি। বাড়তে থাকে বলের সাথে রানের ব্যবধান। আবিষেক-ত্রিস্টান স্টাবসের তৃতীয় উইকেট জুটি থেকে আসে ১৯ বলে ৩৪। আবিষেকও (৩১ বলে ৪১) হন বুমরাহর শিকার।
শেষ ৫ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৯১ রান। শেষ ওভারে ৩৪। ২৭ বলে ৭ ছক্কায় ২৬২.৯৬ স্ট্রাইক রেটে ৭১ রান করেন ত্রিস্টান।
শেষ ওভারে ৩ উইকেট নেওয়া জেরাল্ড কোয়েৎজি মুম্বাইয়ের সেরা বোলার। ম্যাচে ৪ ওভারে ৩৪ রানের বিনিময়ে নেন ৪ উইকেট।
৫ ম্যাচে দিল্লির এটি চতুর্থ হার। পয়েন্ট তালিকায় তারা নেমে গেছে তলানীতে। অন্যদিকে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পাওয়া মুম্বাই উঠে এসেছে দশ দলের এই তালকার আটে।
Leave a Reply