স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকার সাভারে বাড়ি নির্মাণ কাজে বাঁধা প্রদান ও ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে সংবাদ সংম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী এক অসহায় শিক্ষকের পরিবার।
বুধবার দুপুরে সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের শ্যামলাসী বাহেরচর এলাকায় নিজ বাড়িতে ভুক্তভোগী রোমান ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শিক্ষক রোমান ইসলাম বলেন, ভাকুর্তা ইউনিয়নের শ্যামলাসী বাহেরচর এলাকায় আমরা র্দীঘ দিন যাবত বসবাস করছি। সেখানে আমাদের টিনের ঘর ছিল। সেই ঘর ভেঙে এখন পকা ভবন তৈরির কাজে হাত দিয়েছি। কিন্তু হঠাৎ সৈয়দ মিয়া, মোস্তফা, খোরশেদ, মাসুম আহমেদ, কল্পনা আক্তার, আলা উদ্দিন, শফিকুল, দুলাল মিয়াসহ আরো কয়েকজন এসে আমাদের বাড়ির নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে তারা আমাদের কে জানায় ৩০ লাখ টাকা হলে বাড়ির কাজ করতে দিবেন। কিন্তু আমরা দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে রাজি হইনি। তাই বাড়ির নির্মাণ কাজ করতে গেলেই বিভিন্ন হুমকি দেন তারা। তারপরেও বাড়ির নির্মাণ সামগ্রী ও শ্রমিকদের দিয়ে দালানের কাজ শুরু করলে তারা এসে হুমকি দিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
রোমান ইসলাম আরো বলেন, চাঁদা দাবিকৃত টাকা না পেয়ে কৌশলে আমাদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় মারধরের মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানী করছে। তবে আমরা পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে চাঁদাবাজির বিষয়টি লিখিতভাবে অবহিত করেছি।
সংবাদ সম্মেলনে রোমান ইসলামের বড় ভাই সোহেল, বাবা মতি মিয়া, মা হোসনেয়ারাসহ অন্যান্য স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে সাভার মডেল থানার ভাকুর্তা ফাঁড়ির ইনচার্জ আসওয়াদুর বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে চাঁদা দাীর ষিয়টি অস্বীকার করে সৈয়দ মিয়া বলেন, রোমান ইসলাম আমার আপন ভাতিজা। আমাদের ভাইবোনদের অংশ বুঝিয়ে না দিয়েই সড়কের পাশের জায়গায় ভবন নির্মানের কাজ শুরু করে। এমনকি ভাইদের যাতায়াতের রাস্তাও তারা আটকিয়ে দিয়েছে। তাই আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
Leave a Reply