মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫. ৭:০০ পূর্বাহ্ণ

আশুলিয়া বকেয়া বেতন ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ

আশুলিয়া বকেয়া বেতন ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার : বকেয়া বেতন ও বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার একটি তৈরী পোশাক কারখানার বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এতে ওই আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গিয়ে ভোগান্তীতে পড়েন সড়ক ব্যবহারকারীরা।
রোববার সকাল থেকে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের বিশমাইল-জিরাবো আঞ্চলিক সড়কের কাঠগড়ার আমতলা এলাকার সড়ক অবরোধ করে ‘ছেইন এপ্যারেলস লিমিটেড’ কারখানার বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিক্ষুব্ধ একাধিক শ্রমিক জানায়, প্রতি মাসে আমাদের বেতন ৬ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করা হয়। কিন্তু জানুয়ারি মাসের বেতন ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ পার হয়ে গেলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করেনি। এছাড়া সকালে কাজে যোগ দিতে এসে দেখতে পাই ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে মুল ফটকে নোটিশ লাগিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা অবিলম্বে কারখানা খুলে দেওয়া ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানান। এদিকে দুপুরে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের শান্তনাদিকে সড়ক থেকে সড়ে যাওয়ার অনুরোধ করলে শ্রমিকরা আঞ্চলিক সড়কটি ছেড়ে দেয়। পরে সরকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শিল্প পুলিশ-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাহবুবুল হক সজিব বলেন, বকেয়া বেতন ও বন্ধ কারখানা খুলে দেয়ার দাবীতে সকাল থেকে শ্রমিকরা কারখানার সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ গামের্ন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, শ্রমিকরা এক মাসের বকেয়া বেতন পাবে। তাদের বেতন পরিষোধ না করে কারখানার মুল ফটকে সাধারন ছুটির নোটিশ লাগিয়ে দিয়েছে। শ্রমিকরা সকালে কারখানায় এসে ১৫ ফেব্রুয়ারী থেকে ২০ ফেব্রুয়ারী কারখানা সাধারন ছুটি ঘোষনার নোটিশ দেখতে পেয়ে ফুঁসে উঠে।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, বকেয়া বেতন ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছে। শ্রমিকদের দাবি গুলো নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এসব বিষয়ে কথা বলতে ছেইন এপ্যারেলস লিমিটেড কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগার চেষ্টা করলে কাউকে পাওয়া যায়নি।

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *