মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫. ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

চাঁদা না পেয়ে গুলি ছুড়ে খেয়া ঘাটের নৌকা লুট, অস্ত্র হাতে ভিডিও ভাইরাল

চাঁদা না পেয়ে গুলি ছুড়ে খেয়া ঘাটের নৌকা লুট, অস্ত্র হাতে ভিডিও ভাইরাল

নিজস্ব প্রতিবেদক : পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দুটি ট্রলার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশ তিনটি নৌকা উদ্ধার করেছে। তবে অভিযোগকারীর দাবী তার দুটি নৌকা নিয়ে যায় দূবৃত্তরা। এরআগে বুধবার বিকেলে সাভার পৌর এলাকার কাতলাপুরে বংশী নদীর মিলন ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
ছিনিয়ে নেয়া ট্রলার দুটি পোশাক শ্রমিকদের পারাপারের খেয়া হিসেবে ব্যবহৃত হতো। পৌরসভা থেকে ইজারা নিয়ে স্থানীয় কামরুল ইসলাম এই ঘাট পরিচালনা করেন।
ইজারাদার কামরুল ইসলামের ছেলে হেদায়েতুল্লাহ বলেন, অন্তর খান, মোর্শেদ খানসহ আরও কয়েকজন আমার বাবার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় তাঁরা বাবাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছিলেন। বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অন্তরসহ আরও কয়েকজন ঘাট এলাকায় এসে বাবার কাছে দাবি করা চাঁদার ৫ লাখ টাকা চান। টাকা না দেওয়ায় তাঁরা বাবাকে মারধর করতে থাকেন। এ সময় বাবার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অন্তর তাঁর হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এরপর অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে খেয়া পারাপারের ট্রলার দুটি নিয়ে যায়।
অন্তর ও তাঁর সহযোগীরা যুবদল ও ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তারা মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সদস্য ইকবাল হোসেন শামীমের অনুসারী।
ঘটনার পর গা ঢাকা দেওয়ায় অভিযুক্ত কারও সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
সাভার পৌর ছাত্রদলের কর্মী অন্তর খান হাতে পিস্তল নিয়ে ট্রলারের উপর দাঁড়িয়ে থাকার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ঘটনায় ঘাট ইজারাদার কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে অন্তর খান (২৬), মোরশেদ খান (২৫), মোশারফ খান (২৮), হৃদয় (২৫), রনি খান (৪২)সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামি করে সবার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জুয়েল মিঞা বলেন, মিলন ঘাটে ট্রলার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক যুবককে পিস্তল হাতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে গুলির ঘটনার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ওসি বলেন, পুলিশ কাজ করছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *