মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫. ৬:০১ পূর্বাহ্ণ

সাভারে ভাইরাল ‘ক্রিম আপা’ গ্রেপ্তার

সাভারে ভাইরাল ‘ক্রিম আপা’ গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও টিকটকে আলোচিত শারমিন শিলা ওরফে ‘ক্রিম আপা’কে গ্রেপ্তার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। সাভার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কাজী ইসরাত জামানের দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাত ঌটার দিকে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে বুধবার রাতে আশুলিয়া থানায় শিশু আইন- ২০১৩ অনুসারে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিজে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানা এলাকায় বসবাসকারী শারমিন শিলা ওরফে ক্রিম আপা পেশায় একজন বিউটিশিয়ান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি ক্রিম আপা নামে পরিচিত। তিনি মেকআপের জন্য কাজ করাসহ বিভিন্ন ধরনের ক্রিম তৈরি করে বিক্রি করেন। তিনি নিজের ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও তৈরি করে পোস্ট দেন। গত ৩০ মার্চ নিজের ফেসবুক আইডিতে বিকেল চারটার দিকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যা ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, শারমিন শিলা তার মেয়ে শিশুকে (আনুমানিক দুই বছর) জোর করে এক হাতে দিয়ে মুখে চাপ দিয়ে হাঁ করিয়ে মেয়ের অসম্মতিতে কেকজাতীয় কিছু খেতে বাধ্য করছেন। এছাড়াও, সে তারা ছেলে ও মেয়ে শিশুদের ক্যামেরার সামনে এনে জোর করে চুলকাটা, রং করা, কানে ভারী দুল পরানো, শিশুদের মুখে কুলকুচি করা, অপমানজনক গালিগালাজ করা, থাপ্পড় ও শারীরিক কষ্ট দিয়ে প্রতিনিয়ত ভিডিও তৈরি করেছেন।
তিনি ভাইরাল হওয়ার জন্য এক বছর ধরে দুই শিশু সন্তানের প্রতি মাতৃসুলভ আচরণ না করে শিশুদের আঘাত, উৎপীড়ন, অবহেলাসহ তাদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করছেন। এ ধরনের আচরণের কারণে শিশুরা শারীরিক ও মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন বলেন, শিশু আইনের ৭০ ধারায় শারমিন শিলার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শিশুকে আঘাত, উৎপীড়ন ও অশালীনভাবে প্রদর্শন করার অভিযোগ করা হয়েছে। সন্ধ্যায় সাভারের পৌর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আশুলিয়া থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
সাভার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কাজী ইসরাত জামান বলেন, তার বিরুদ্ধে আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে মামলাটি করেছি। সে তার বাচ্চাদের যা শিক্ষা দিচ্ছেন সেগুলো অনুচিত। সে ক্ষমা চেয়েছেন কিন্ত আমরা চাই এই কর্মকান্ড থেকে বেরিয়ে আসুক। শুধু সে নয় যারাই এ ধরনের কাজের সাথে জড়িত তারাও সতর্ক হবে।

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *