নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার সাভারের ছোট কালিয়াকৈর এলাকার একটি বাঁশ ঝাড়ের ভেতর থেকে শুক্রবার উদ্ধার হওয়া অর্ধনগ্ন নারীর লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে । তাঁকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছিল । ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তাঁর স্বামী সোহাগ মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে ।
নিহত ওই নারীর নাম তানিয়া আক্তার (২৪)। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার বাঘানগর গ্রামের নুরুল হকের মেয়ে ।
তানিয়া আক্তার তাঁর স্বামী সোহাগ মোল্লার সঙ্গে আশুলিয়ার সাধুপাড়া বউ বাজার এলাকার সুরুজ মিয়ার ভাড়া দেওয়া বাড়িতে থেকে পার্শ্ববর্তী একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন । তানিয়ার আগের ঘরে আরিয়ান আমি ৬ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
গ্রেপ্তার সোহাগ মোল্লা (৩৫) নওগাঁ জেলার সদর থানার খিদিরপুর গ্রামের বাসের আলী মোল্লার পুত্র।
সোহাগ মোল্লা তানিয়ার দ্বিতীয় স্বামী । একই কারখানায় চাকরির সুবাদে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের কারণে তানিয়া তাঁর প্রথম স্বামী আলী আহমদকে তালাক দিয়ে বছর খানেক আগে সোহাগ মোল্লাকে বিয়ে করেন । তানিয়াও সোহাগ মোল্লা দ্বিতীয় স্ত্রী । কিন্তু সোহাগ তাঁর প্রথম স্ত্রীর কাছে দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন ।
রোববার সাভার থানায় সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির আরও বলেন, তানিয়া চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন । বিষয়টি জানার পর তানিয়ার সঙ্গে সোহাগ মোল্লার দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। দাম্পত্য কলহের জের ধরেই সোহাগ গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) তানিয়াকে সাভারের ছোট কালিয়াকৈর এলাকার একটি নির্জন বাঁশ ঝারের ভেতর নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর লাশ ঘটনাস্থলে রেখে তিনি পালিয়ে যান । গত শুক্রবার ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তানিয়ার লাশ উদ্ধার করে ।
তানিয়ার বাবা নুরুল হক লাশ উদ্ধারের পর দিন শনিবার মেয়ে হত্যার ব্যাপারে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন । এর কয়েক ঘণ্টা পর শনিবার দিবাগত রাতে আশুলিয়া থেকে পুলিশ সোহাগ মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে।
হত্যার কথা স্বীকার করে সোহাগ মোল্লা পুলিশকে জানিয়েছে, তানিয়া পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন । বিষয়টি জানার পর তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেন এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁকে হত্যা করে ।
Leave a Reply