মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫. ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ

আশুলিয়ায় ঝুট ব্যবসা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আটক ৬

আশুলিয়ায় ঝুট ব্যবসা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আটক ৬

স্টাফ রিপোর্টার : আশুলিয়ায় একটি পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় দুই রাউন্ড গুলি ও চারটি হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক ও বেশ কিছু লোহার পাইপ, লাঠিশোঠাসহ দেশীয় অস্ত্র¿ উদ্ধার করেছে।
মঙ্গলবার বিকালে আশুলিয়ার ডিইপিজেড এলাকার পাশে অবস্থিত প্রডেন্ট ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার সামনে এঘটনা ঘটে। এঘটনার পর অস্ত্র উদ্ধার ও জড়িতদের ধরতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে আহতদের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, ইকরামুল ইসলাম (২৮), নূর আলম (২৪), আলম খন্দকার (৩৯), মো: পলাশ (৩৩), আবু বক্কর সিদ্দিক (৪৭) ও মোক্তার হোসেন (৩৩)।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গুলি ছোড়ার ঘটনায় ঘটনাস্থলের পাশের একটি বাড়ি থেকে ৬ জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের হেফাজত থেকে বেশ কিছু লোহার পাইপ, লাঠিশোঠাসহ দেশীয় অস্ত্র¿ উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরের দিকে হারুন মন্ডল নামের এক ব্যক্তি বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে লোকজন নিয়ে প্রডেন্ট ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার সামনে ঝুট স্থানান্তরের কাজ করতে আসে। এসময় আলমগীর হোসেন নামে বিএনপির অপর একটি পক্ষ দেশী-বিদেশী অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় দুই রাউন্ড গুলি ছুড়ে আতংক সৃষ্টি করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা শুরু হয়। এসময় চারটি হাতবোমা বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বিএনপি নেতা বলেন, সকাল থেকে ঝুট স্থানান্তরের কাজ করছিলেন বিএনপি নেতা হারুন মন্ডল। দুপুরের পরে বিএনপির সাবেক সাংসদ ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবুর অনুসারী পরিচয়ে স্থানীয় ক্যাডার আলমগীর হোসেন, রিয়াদ মোল্লা, দেওয়ানসহ প্রায় ৩০ থেকে ৩৫জন লোক নিয়ে হামলা চালায়। তখন তারা দুই রাউন্ড গুলি ও চারটি হাতবোমা বিস্ফোরন ঘটায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
অপর পক্ষের বিএনপি অনুসারী আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের নামে কারখানার সাথে চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুসারে মালামাল বের করার কাজ করতে যাই। কিন্ত এর আগে থেকে দেশী-বিদেশী অস্ত্র নিয়ে আমাদের ধাওয়া দিলে আমরা পালিয়ে যাই। পরে শুনতে পারি আমরাই নাকি গুলি ছুড়েছি।
আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিক বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযান চালিয়ে বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছি। সন্দেহজনক ভাবে ৬জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *