মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫. ৫:৫২ পূর্বাহ্ণ

সাভারে ইটভাটাসহ ৬ প্রতিষ্ঠান গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন, ১০লাখ টাকা জরিমানা আদায়

সাভারে ইটভাটাসহ ৬ প্রতিষ্ঠান গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন, ১০লাখ টাকা জরিমানা আদায়

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকার সাভারে অবৈধভাবে গড়ে উঠা অনুমোদন বিহিন একটি ইটভাটাসহ ৬টি কারখানা গুড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এসময় ইটভাটার মালিকের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সাভার উপজেলার আশুলিয়ার রুস্তমপুর ও ভাকুর্তার মুগড়াকান্দা এলাকার এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল আনুমানিক সোয়া ১০টার দিকে সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আবুবকর সরকারের নেতৃত্বে সাভারের সহকারী কমিশনার (ভুমি) জহিরুল আলম, আশুলিয়ার সহকারী কমিশনার (ভুমি) সাদিয়া আক্তার, আমিনবাজারের সহকারী কমিশনার (ভুমি) বাসিত সাত্তার, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, এসকেভটর, ভেকু, দুই ট্রাক ভর্তি মাথায় লাল ফিতা বাধা শ্রমিক ও সাংবাদিকদের নিয়ে গাড়িবহর অজানার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু সাংবাদিকদেরও জানানো হয়নি কোথায় কি অভিযানে যাচ্ছে। হঠাৎ গাড়িবহর গিয়ে উপস্থিত হয় দূর্গম মাঠ পেরিয়ে আশুলিয়ার থানার রুস্তমপুর এলাকার সেভেন স্টার নামে একটি ইটভাটার সামনে। ততখনে এতো গাড়িবহর দেখে জড়ো হতে থাকে এলাকাবাসী।
অভিযানে শুরুতেই ইটভাটার ম্যানেজার আকরাম হোসেনকে আটক করা হয়। পরে ১০ লাখ টাকা জরিমানায় ছাড়া পায় সে। এরমধ্যে ইটভাটার সামনের কিছু অংশ ভেকু দিয়ে ভেংগে দেওয়া হয়। এমন ঢাকডোল পিটিয়ে ইটভাটায় অভিযান হতভম্ভ সংবাদ কর্মীরাও।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: আবুবকর সরকার বলেন, সেভেন স্টার ইটভাটায় কোন অনুমোদন নেই। পরিবেশ, ইটভাটার ছাড়পত্র, মাটি কাটার ছাড়পত্র কোনটাই নেই। তাই প্রাথমিকভাবে সর্তক করে দেওয়ার পাশাপাশি ১০লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সেভেন স্টার ইটভাটার ব্যবস্থাপক আকরাম হোসেন বলেন, এইভাটার মালিক আরাফাত হোসেন, মোকসেদ আলী দেওয়ান ও মো: আনিস। ভাটার কোন অনুমোদ নেই স্বীকার করে বলেন, অনুমোদনের জন্য আবেদন প্রক্রিয়াধীন।
ইটভাটার কাজ শেষে পুনরায় গাড়িবহর চলতে থাকে। একপর্যায়ে ধূলাবালি পেরিয়ে গাড়িবহর এসে থামে সাভার থানাধীন ভার্কুতার মুগড়া কান্দা এলাকায়। এখানে পাশাপাশি ৫টি কারখানা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এরমধ্যে টায়ার পুরিয়ে ফার্নিস অয়েল তৈরির অবৈধ তিনটি কারখানা ও কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরীর দুটি কারখানা।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: আবুবকর সরকার বলেন, এখানে যে ৫টা কারখানা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এসব কারখানা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *