

অনলাইন ডেস্ক : বন্ধ হতে যাচ্ছে দেশের ঐতিহ্যবাহী মধুমিতা সিনেমা হল। পর্যাপ্ত সিনেমা না থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষের। আর তাই প্রেক্ষাগৃহটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
সিনেমার ব্যবসা যখন মন্দা, তখনো পৈতৃক ব্যবসাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছিলেন মধুমিতা সিনেমা হলের কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না। সিনেমা হলটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাবেক এই সভাপতি জানান, সবশেষ নভেম্বরে হলটিতে মুক্তি পেয়েছিল ‘দরদ’ সিনেমা। এরপর দুই মাস ধরে হলটি বন্ধ রয়েছে। কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। যার দরুন এভাবে হল বন্ধ রেখে স্টাফদের বেতন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আসছে ঈদে সিনেমা চালাবেন, এরপর চিরতরে বন্ধ করে দেবেন দেশের ঐতিহ্যবাহী এই হলটি।
তিনি বলেন, দুই মাস ধরে হল বন্ধ রয়েছে। আর কোনোভাবেই এটা চালানো সম্ভব হচ্ছে না আমাদের পক্ষে। অন্তর্বর্তী সরকারও তো কিছু করছেন না। মাসের পর মাস লোকসান দিয়ে চালাচ্ছি। এভাবে তো চলতে পারে না। যার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ৫৬ বছর ধরে সিনেমা চালাচ্ছি কিন্তু এখন আর সম্ভব হচ্ছে না। বন্ধ করেই দিতে হচ্ছে। রোজার ঈদে সিনেমা চালাবো, কোরবানি ঈদেও চালাতে পারি। এরপর একেবারে বন্ধ করে দেবো।
জানা যায়, সিনেমা হলটি ভেঙে সেখানে উঠবে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন। তবে সেখানে মাল্টিপ্লেক্স থাকবে বলেও জানিয়েছেন নওশাদ।
তিনি বলেন, এটা ভেঙে এখানে কমার্শিয়াল বিল্ডিং করা হতে পারে। যদি সে রকম কিছু হয় তাহলে আমার তো ইচ্ছা আছে এখানে মাল্টিপ্লেক্স করার।
উল্লেখ্য, প্রায় অর্ধশত বছর পেরিয়েছে মধুমিতা হল। ১৯৬৭ সালের ১লা ডিসেম্বর মধুমিতা সিনেমা হল উদ্বোধন করেছিলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার বিচারপতি আব্দুল জব্বার খান।
সূত্র: মানবজমিন অনলাইন।