1. selimsavar@gmail.com : khobar desk :
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৬:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাভারে ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় আটক ২ মহারানী ভিক্টোরিয়ার ২০৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনকারীদের টাকার বিনিময়ে পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেয়ার অভিযোগ সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবার নামে হয়রানিসহ অনিয়ম, অব্যবস্থাপনার অভিযোগ সাভারে ব্যবসায়ীর জমিতে হামলা ভাঙচুর, আহত ২ সাভারে বিএনপি কর্মী পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ স্থানীয় আ.লীগ নেতা নজরুলের বিরুদ্ধে সাভারে অনুমোদনহীন ফিশ ও পোল্ট্রি ফিড কারখানা ‘ফ্রেসটেক’ সিলগালা, লাখ টাকা জরিমান খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে নেতা-কর্মীদের নিয়ে সড়কে খোরশেদ আলম টেস্ট ড্রাইভের কথা বলে মোটরসাইকেল ছিনতাই, উল্টো মালিকের বিরুদ্ধে মামলা ভ্রাম্যমান দোকানে সবজি বিক্রি করে চলবে অসহায় সেলিনার সংসার

ড্রয়ারে ৩ বছর ধরে শিশুকন্যাকে লুকিয়ে রেখেছিলো মা

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

অনলাইন ডেস্ক : একজন মা তার শিশুকন্যাকে জন্মের পর থেকে তিন বছর ধরে ড্রয়ারে লুকিয়ে রেখেছিলেন। শিশুটির প্রতি ‘চরম অবহেলা’ এবং পৈশাচিক ব্যবহারের জন্য ওই নিষ্ঠুর মায়ের সাত বছর ছয় মাসের জেল হয়েছে।

মামলাটির শুনানি হয় যুক্তরাজ্যের চেস্টার ক্রাউন কোর্টে। চরম অবহেলা এবং নির্যাতনের পরিণতি হিসেবে শিশুটি এখন শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিকভাবে ক্ষতবিক্ষত।

চেশায়ারের বাড়িতে তৃতীয় জন্মদিনের কয়েক সপ্তাহ আগে শিশুকন্যাকে যখন উদ্ধার করা হয় তখন সে রীতিমতো অপুষ্টিতে ভুগছে। শরীর প্রায় পানিশূন্য। গুরুতর বিকাশগত সমস্যায় জর্জরিত ছিল সে। তার গোটা ত্বক ফুসকুড়িতে আবৃত ছিল এবং সারা শরীরে অবহেলার চিহ্ন ছিল স্পষ্ট।

বিচারক স্টিভেন এভারেট বলেন যে শিশুটির মা তাকে সঠিক স্নেহ, যথাযথ মনোযোগ, সঠিক ডায়েট, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় চিকিত্সা পরিষেবা প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছে। একটি সিরিঞ্জের মাধ্যমে দুধযুক্ত উইটাবিক্স খাওয়ানো হতো তাকে। শিশুটির তালু ফেটে গেলেও তাকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা প্রদান করা হয়নি। শিশুটি একটু যত্নের প্রত্যাশায় ক্ষুধার্ত ছিল। আদালতকে বলা হয়েছিল যে মা শিশুটিকে তার ভাইবোনদের কাছ থেকে লুকাতে বিছানার ড্রয়ারে লুকিয়ে রেখেছিলেন। তিনি তার সঙ্গীর কাছ থেকে গোপন করতে চেয়েছিলেন যিনি প্রায়শই বাড়িতে থাকতেন।

২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত হয়। সত্যটি সামনে আসে যখন ওই নারীর সঙ্গী একদিন সকালে হঠাৎ করে বাড়ি ফিরে এসে শোবার ঘর থেকে শিশুর আওয়াজ শুনতে পান। খোঁজ চালানোর পর তিনি শিশুটিকে খুঁজে পান এবং স্বজনদের খবর দেন। ওই নিষ্ঠুর মাকে সাজা দিতে গিয়ে বিচারক স্টিভেন এভারেট তার কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বলেন, ‘আপনি যা করেছেন তা বিশ্বাস করাও কঠিন। আপনি ছোট্ট মেয়েটিকে ভালবাসা, যত্ন, খাদ্য, পানীয়, চিকিৎসা ছাড়া যেভাবে রেখেছিলেন তার পরিণতি বিপর্যয়কর হতে পারতো। শিশুটি এখন জীবিত হয়েও মৃত।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্ত দাবি করেন যে, তিনি জানতেন না তিনি গর্ভবতী ছিলেন এবং সন্তান জন্মাবার পর ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তিনি অফিসারদের বলেছিলেন যে শিশুটি “পরিবারের অংশ নয়”। শিশুটিকে তার পিতার কাছ থেকে দূরে রাখতেই তিনি এই পন্থা অবলম্বন করেন। মেয়েটি এখন ফস্টার কেয়ারে রাখা হয়েছে।

See also  সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবার নামে হয়রানিসহ অনিয়ম, অব্যবস্থাপনার অভিযোগ

একটি বিবৃতিতে, তার তত্ত্বাবধায়ক জানাচ্ছেন, শিশুটি নিজের নাম পর্যন্ত এখনো বুঝতে শেখেনি। প্রসিকিউটররা আশা প্রকাশ করেছেন যে মেয়েটি সুস্থ হয়ে অবশেষে একটি সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবে। বিচারক স্টিভেন এভারেট জানিয়েছেন “আমার ৪৬ বছরে এতো খারাপ কেস আর দেখিনি ।”

সূত্র: গালফ নিউজ।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :