

অনলাইন ডেস্ক : বুধবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির রিগ্যান ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কাছে মাঝ আকাশে মার্কিন সামরিক হেলিকপ্টারের সঙ্গে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমানের যে সংঘর্ষ হয়েছে তার কারণ এখনো খুঁজে বের করতে পারেননি তদন্তকারীরা।
যাত্রীবাহী বিমানের ৬৪ জন এবং হেলিকপ্টারে থাকা ৩ জনের সকলেই প্রাণ হারিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ২০ বছরে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার মধ্যে এটি অন্যতম। তবে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বিমানে থাকা ব্ল্যাক বক্সগুলো উদ্ধার করতে পেরেছেন তারা। বিধ্বস্তের পর পটোম্যাক নদীতে পড়ে যাওয়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে এই ব্ল্যাক বক্সগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
ব্ল্যাক বক্স হচ্ছে- বিমানটির ফ্লাইট ডাটা যাতে উড্ডয়ন সংক্রান্ত তথ্য থাকে। এ ছাড়া সেখানে ককপিট ভয়েস রেকর্ডারও থাকে। বুধবার রাতে ওই দুর্ঘটনার পর এখনো জীবিত কোনো ব্যক্তিকে উদ্ধার করা যায়নি। এ পর্যন্ত তাদের খোঁজ পাওয়া গেছে তারা সকলেই মৃত।
বিমানের যাত্রীদের মধ্যে তরুণ কয়েকজন স্কেটারও ছিলেন। যারা কানসাসের বাসিন্দা। এ ছাড়া মৃতদের মধ্যে রাশিয়া, ফিলিপাইন, জার্মানি এবং চীনের নাগরিকও ছিলেন বলে ওয়াশিংটন ডিসির সিনেটর মারিয়া কান্টওয়েল। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সিআরজে-৭০০ মডেল বিমান থেকে উদ্ধারকৃত ককপিট ভয়েস রেকর্ডার প্রতিবেদন প্রকাশ করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট সেফটি বোর্ড।
এদিকে প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য পটোম্যাক নদীতে উদ্ধার কার্যক্রম স্থগিত করেছে ডুবুরিরা। উদ্ধারকাজে দেরি হলেও সকল মৃতদেহ উদ্ধারের আশা করছেন তারা। ডুবুরিদের উদ্ধার তৎপরতাকে সহজ করতে নদী থেকে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটির কিছু ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নেবে কোস্ট গার্ড। ওই ধ্বংসাবশেষগুলো সরানো হলে এবং পরিস্থিতি নিরাপদ হলে আবারো পানিতে নামবেন উদ্ধারকারীরা।