

অনলাইন ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত নারী বিশ্বকাপে দলের এক ক্রিকেটারকে ফিক্সিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন বাংলাদেশি স্পিনার সোহেলী আক্তার। তবে সোহেলীর সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশের সেই নারী ক্রিকেটার। তিনি সেই ফাঁদে পা না দিয়ে আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিশনকে (আকু) বিষয়টি জানায়। সেই অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় আইসিসির অ্যান্টি-করাপশন নীতিমালার ৫টি ধারা লঙ্ঘনের দায়ে সোহেলী আক্তারকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে সোহেলীর নিষেধাজ্ঞার শাস্তি কার্যকর শুরু হয়ে গেছে।আইসিসির অ্যান্টি-করাপশনের কোডের যেসব বিধিগুলো লঙ্ঘনের কথা স্বীকার করেছেন সোহেলী সেগুলো হলো- ২.১.১ ধারায় ম্যাচ ফিক্সিং বা যেকোনো উপায়ে খেলার ফলাফল, অগ্রগতি, আচরণ বা অন্যান্য দিক অনৈতিকভাবে প্রভাবিত করা বা এর সঙ্গে জড়িত থাকা, যার মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ পারফরম্যান্স করাও অন্তর্ভুক্ত। ২.১. ১ ধারা লঙ্ঘনে আছে ম্যাচ ফিক্সিং বা বাজি সংক্রান্ত উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট কোনো ঘটনা ঘটানোর জন্য ঘুষ বা অন্য কোনো পুরস্কার গ্রহণ, গ্রহণে সম্মতি প্রদান, প্রস্তাব করা বা গ্রহণের চেষ্টা করা। ২.১.৪ ধারায় অন্য কোনো অংশগ্রহণকারীকে ওপরের যেকোনো বিধান লঙ্ঘনের জন্য প্ররোচিত করা, উৎসাহিত করা, নির্দেশনা প্রদান করা বা কোনোভাবে সহায়তা করা। ধারা ২.৪.৪-দুর্নীতি দমন বিভাগকে (এসিইউ) দেরি না করে দুর্নীতির জন্য করা কোনো প্রস্তাব বা আমন্ত্রণের সম্পূর্ণ তথ্য জানাতে ব্যর্থ হওয়া। ধারা ২.৪.৭-এ আছে দুর্নীতি দমন বিভাগকে তদন্তে বাধা সৃষ্টি করা বা বিলম্ব করা, যার মধ্যে প্রাসঙ্গিক নথিপত্র বা অন্যান্য তথ্য গোপন করা, বিকৃত করা বা ধ্বংস করাও অন্তর্ভুক্ত।